আজ ২১শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এবং এতে বিদেশ সফরের নানা দিক তুলে ধরে সরকার প্রধান।

সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে বেশি কথা বললে সব বন্ধ করে দিয়ে বসে থাকবো। ইলেকশনের পরে, যদি আসতে পারি, আবার করবো। তারপর দেখি কে সাহস পায় নিতে ক্ষমতা। সব রেডি করে দিয়েছি, এখন বসে বসে বড় বড় কথা বলে। আমি বাবা–মা সব হারিয়েছি। আমার হারাবার কিছু নেই। ১৫-১৬ বছর বয়য়ে স্কুল জীবনে থেকে মিছিল করি। কত বছর হয়েছে রাজনীতির? একটা স্বপ্ন ছিল- জাতির পিতার, সেটা করেছি, এখন তো কেউ না খেয়ে থাকে না।

সংবাদ সম্মেলনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিএনপির আন্দোলন, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন, নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, ডেঙ্গুসহ চলমান অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা, সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন, বিভিন্ন দূতাবাস এবং রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের ভূমিকাসহ সমকালীন বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী।

রিজার্ভ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন,
করোনার সময় আমদানি বন্ধ ছিল, যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। তখন তো রিজার্ভ বেড়ে ছিল। এরপর যখন সব খুলে গেলো, সবকিছু আমদানি শুরু হলো। তখন রিজার্ভ কমবে, এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। আমরা ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন রিজার্ভ এক বিলিয়নও ছিল না। ছিল শূন্য দশমিক সাত বিলিয়ন। আমি যখন ’৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন রিজার্ভ ছিল বিলিয়নের নিচে। যেটুকু বেড়েছে, আমাদের সরকারই বাড়িয়েছে। যেসব আঁতেল, জ্ঞানীগুণী কথা বলেন। তারা কী জানেন, আমরা যখন ক্ষমতায় এসেছি, তখন রিজার্ভ কত ছিল। বাংলাদেশ কোথায় ছিল, কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছি। যতটুকু রিজার্ভ প্রয়োজন, আমাদের আছে। আমাদের ভালো থাকা জরুরি, নাকি রিজার্ভটা দরকার বেশি। যদি বলে, তাহলে রিজার্ভ আগের জায়গায় এনে দেই। বিদ্যুৎ কেন্দ্র-টেন্দ্র বন্ধ করে দেই।

সরকার প্রধান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। যখন দেশে স্বৈরশাসন ছিল, আমরা সংগ্রাম করেছি। নির্বাচন ব্যবস্থার যে সংস্কার। ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। এটা আওয়ামী লীগই করেছে। আমাকে শেখাতে হবে না। একটানা আমরা ক্ষমতায় আছি বলেই দেশের উন্নয়নটা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের কিছু লোক নির্বাচন নিয়ে ‘একটু বেশি কথা’ বলে, সে কারণে বিদেশিরাও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলার সুযোগ পায়। দুর্ভাগ্য হলো সেটাই, যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে, জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থেকে দেশ পরিচালনা করেছে, সেই সময় নির্বাচনের সুষ্ঠতা নিয়ে তাদের (বিদেশিদের) উদ্বেগ দেখিনি।

দুই দেশে মোট ১৬ দিনের সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফিরেন সরকার প্রধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর...