চাকরি ছেড়ে সফল ফ্রীলান্সার, চাকরি না করেও যে স্বাধীনভাবে কিছুকরা যায়, তার আধুনিক পরিচিতি ফ্রিল্যান্সিং। একটুদরদ র্শিতা, পরিশ্রম ও ধৈর্য বদলে দিতে পারে অনলাইন এবং অফলাইন জীবন। যে কেউ সময়ের সঙ্গে লক্ষ্য ঠিক রেখে চেষ্টা করলে হতে পারবে সেরা ফ্রিল্যান্সার। হাজারো তরুণের চোখে হয়ে উঠবে আইডল। লক্ষ্য অটুট থাকলে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও মিলবে সফল ফ্রিল্যান্সারের মর্যাদা। এমনই একজন তরুণ আরিয়ান রাসেল। অনার্স শেষে চাকরি না করে অনলাইনে কিছু করার চেষ্টা করেন, তখনই তার স্বপ্ন বুনেন। এ বয়সেই নিজে কিছু করার ইচ্ছা থেকে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ঢুকতে মন চাইলেও হাতে টাকা বা কম্পিউটার না থাকার কারনে করতে পারেনি। বন্ধুর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে কম্পিউটার কিনেন প্রথমে ।ইউটিউব দেখে এবং অনলাইনে কোর্স করে তিনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন । ৩ বছরের কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের সঙ্গে একটু একটু এগিয়ে যাবার অনপ্রেরণা তাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস ফাইবার ও Upwork বিশেষ করে আউট অফ মার্কেট প্লেসে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফ্রিল্যান্সার আরিয়ান রাসেল অনলাইন আউট অফ মার্কেট প্লেসে মলতূ সার্স ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (এসইও) ও গুগল এডস , ফেসবুক এডস এর ওপর কাজ করছেন। পরিশ্রম আর ধৈর্যের সফলতায় বদলে যাচ্ছে আরিয়ান রাসেলের। এখন তার প্রতি মাসে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ হাজার টাকার মতো আয় হচ্ছে।
বর্তমান আরিয়ান রাসেলের Outsourcing Institute BD নামে একটি ইনস্টিটিউট রয়েছে । সেখানে তিনি বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিতেছেন ।
রাসেলের স্বপ্ন কর্মহীন তরুণ তরুণীদের জন্য কিছু করা। গ্রামের স্বল্প আয়ের পরিবারে বেড়ে ওঠা তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং পেশায় দক্ষ করে তুলে বেকার সমস্যা ঘোঁচানোর পথ দেখাতে তার আগ্রহের কমতি নেই।
এছাড়াও অনলাইনে https://outsourcing-institute.com/ ‘Outsourcing Institute BD ’or নামে ফেসবকু পেজ এন্ড ওয়েবসাইট রয়েছে ।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ খুব শিগগিরই একটি বৃহৎ কর্মকান্ডে রূপ নেবে বলে আশাবাদী রাসেলের।
চরফ্যাশন উপজেলা নুরাবাদ ইউনিয়নের গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাসেলের। তিনি ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে ২০১৯ সালে ।
রাসেল বলেন, শুরুতে কোনো কিছু বুঝতাম না। ইন্টারনেটে গুগল, ইউটিউব ঘেটেঁ ঘেটেঁ শিখতে লাগলাম। কিন্তু সফলতার থেকে ব্যর্থতার ঝুলিটাই বড় হতে লাগলো। একটু হতাশ হয়ে গেলাম। তবে তার ফুফাতো ভাই আরিফের উৎসাহ থেকে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি। অনেক ইচ্ছে ছিল সরকারি চাকরি করা । কিন্তু সেটাতে খুব বেশি সফলতা না আসায় ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ওপর কাজ করতে থাকি। এরপর পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ওপর কাজ শিখে সেটির ওপর কাজ চালিয়ে যাই। এখন তিনি ওয়েব ডিজাইনার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছে যাচ্ছেন রাসেল। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারায় সফলতাই তার সবচেয়ে প্রাপ্তি। বর্তমানে প্রতিমাসে তিনি লক্ষ টাকা আয় করলেও, কিছুদিনের মধ্যে তা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। কারণ আগামী দিনে ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তরুণ এ ফ্রিল্যান্সার জানান, আগামীর বাংলাদেশ হবে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। এজন্য সামনের দিনগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং-এর গুরুত্ব অনেক বেশি। করোনা মহামারির কারণে দেশের মানষু তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে কয়েক ধাপ এগিয়ে গেছে। পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে ঝুঁকে পড়ছে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহীদের উদ্দেশ্যে রাসেল পরামর্শ, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। নিজেকে ঠিক করে নিতে হবে কোন বিষয়ে আপনি দক্ষ। যে বিষয়ের ওপর আপনি কাজ করতে আগ্রহী সেই বিষয়ের ওপর ধারণা নিয়ে মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করা সম্ভব নয়। এতে হতাশ হতে হবে। এজন্য দক্ষতা অর্জন এবং ধৈর্য ধারণের বিকল্প নেই।
Leave a Reply